‘যারা নৌকায় ভোট দিতে নারাজ তারা কেন্দ্রে আসবেন না’

টাঙ্গাইলের অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে যারা নৌকায় ভোট দেবেন না তাদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিএম এ রাজ্জাক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2022, 05:36 PM
Updated : 10 June 2022, 05:49 PM

বুধবার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের আমলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রহিমের নির্বাচনী সভায় মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম বক্তৃতা দেন।

তার এই বক্তব্য বৃহস্পতিবার ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে মির্জাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল তার বক্তব্যে এমন কথা বলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভিডিওর এক অংশে সাদিকুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, “আমি আজকেও বলে দিতে চাই, ১৫ তারিখ ভোট হবে সারাদিন এবং নৌকা মার্কায় ভোট হবে। আপনারা ভোট দিবেন। যারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন তারাই কেন্দ্রে আসবেন। আর যারা নৌকায় ভোট দিতে নারাজ, দয়া করে তারা কেন্দ্রে আসবেন না। আমরা কিন্তু আশেপাশেই অবস্থান করব। এখানে ২৪শ ভোট রয়েছে, যদি দুই হাজার ভোট কাস্ট হয়, আমরা দুই হাজার ভোটই পেতে চাই।”  

ভিডিওর আরেক অংশে তাকে বলতে শোনা যায়, “যে-কোনো মূল্যে নৌকাকে আমাদের বিজয়ী করতেই হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ–আমরা প্রত্যেক কেন্দ্রে দুর্গ গড়ে তুলব। যেখানে যা প্রয়োজন আমরা সেটাই ব্যবহার করব।”

সাদিকুল ইসলামের এই বক্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মধুপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেছেন, এ ধরনের বক্তৃতার বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়ে কেউ তার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচনে বিএনপি নেতা মো. লস্কর আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ায় জনমত তার দিকে (লস্কর আলী) আসছে। সে কারণে ভোটারদের এই হুমকি দেওয়ার জন্য তিনি কোথাও অভিযোগ করেননি।

এদিকে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে সাদিকুর রহমান বলেন, “কেউ হয়তো এডিট করে এই ভিডিও দিয়েছেন।”

এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি বলেন, “এমন কথা তিনি বলেননি বলে আমার মনে হয়। আর বলে থাকলেও সেটা তিনি ঠিক করেননি।”

আগামী ১৫ জুন মধুপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়নসহ জেলার সাতটি উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।