আর সাক্কু তার অর্জন ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলছেন, দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনের পথে রয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টিতে শহরের রেসকোর্স, ঠাকুরপাড়া, নজরুল এভিনিউ, শিক্ষা বোর্ডের পেছনের এলাকা, জিলা স্কুল রোড, সালাউদ্দিন, কাশারিপট্টি, দ্বিতীয় মুরাদপুর, শাসনগাছা, চর্থাসহ বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেন, "সাক্কু কুমিল্লার মানুষকে পানির নিচে রেখে বরাদ্দের টাকা লোপাট করেছেন।“
আগে থেকেই সাক্কুকে 'ব্যর্থ' ও 'দুর্নীতিবাজ' আখ্যায়িত করে আসছেন রিফাত।
এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মেয়র পদের লড়াইয়ে নেমেছেন দুইবারের মেয়র সাক্কু ও আরেক বিএনপিপন্থী নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার।
কায়সার বলেন, “জলাবদ্ধতা কাটাতে তার সুষ্ঠু পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নির্বাচনের সময় সাক্কুর নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধান জায়গা নিয়েছিল জলাবদ্ধতা নিরসন ও যানজটমুক্ত শহর। কিন্তু সাক্কু কিছু করতে পারেননি। আগের দুই মেয়াদেই সাক্কু ব্যর্থ হয়েছেন।”
অন্য প্রার্থীরাও জলাবদ্ধতাকে ইস্যু বানিয়ে সাক্কুর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তবে সাক্কু নিজেকে 'ব্যর্থ' মানতে নারাজ। দুর্নীতির অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।
সাক্কুর দাবি, তিনি জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে অনেক কাজ করেছেন। এবার নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতামুক্ত শহর গড়বেন।
জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হিসেবে কুমিল্লা-নোয়াখালী চার লেন মহাসড়কের সম্প্রসারণ কাজের জন্য কান্দিখাল ভরাট করাকে দায়ী করেন সাক্কু।
আগামী ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। ১৫ জুন সকাল ৮টা থেকে ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেবেন শহরবাসী।