সরেজমিনে দেখা গেছে, সীমান্ত পার হয়ে ভারতের অংশে বিএসএফ ও ইমিগ্রেশনের ঝামেলা নেই। সেখানে করোনাকালের পর স্ক্যানার বসানো হয়েছে। স্ক্যানার বসানোর আগে সীমান্ত পার হওয়ার পর বিএসএফ-এর ব্যাগ খুলে সব বের করার যে অভিযোগ আগে ছিল এখন তা আর নেই।
এদিকে বাংলাদেশ এলাকায় বিজিবির ব্যাগ খুলে হয়রানির অভিযোগ আগে থাকলেও এখন আর নেই। কাস্টমসে ব্যাগ খুলে ম্যানুয়্যাল পদ্ধতিতে সময়ক্ষেপণ এবং জিনিসপত্র এলোমেলো করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভারতফেরত দিনাজপুরের বালুবাড়ীর নিয়াজ আহাম্মেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, স্ক্যানার বসানোর কারণে বিএসএফ আর ব্যাগ খুলে সময়ক্ষেপণ করে না। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায় দ্রুত।
“কিন্তু সমস্যা হলো বাংলাদেশ হিলিতে; কাস্টমসের পাসপোর্ট শাখায় স্ক্যানার মেশিন নেই। অযথা ব্যাগ খুলে সব জিনিস এলোমেলো করে ফেলে।”
নওগাঁর ধামইরহাটের আব্দুল আওয়াল বলেন, “টাকা না দিলেই ঝামেলা। আমি একশ টাকা দেওয়ার পর ব্যাগ খোলেনি। ভারতের হিলি অংশে স্ক্যানার মেশিন থাকায় দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়। এছাড়াও ইমিগ্রেশনে ৬টি বুথ থাকায় দ্রুত কাজ হয়।
ভারত যাওয়ার পথে রংপুরের মিঠাপুকুরের মানসী রানী ও নওগাঁ সদরের বিমল কুসনোও ইমিগ্রেশনে জনবল কম থাকায় বিলম্ব এবং কাস্টমসে বিড়ম্বনার অভিযোগ করেন।
তিনি বাংলাদেশ হিলিতেও স্ক্যানার মেশিন বসানোর দাবি জানান।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসলেই ব্যাগ খোলা যেমন ভারতে যাতায়াতকারী লোকদের জন্য বিড়ম্বনা, তেমনি কাস্টমসে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের জন্যও বিড়ম্বনা।
তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি ‘সঠিক নয়’ দাবি করে কামরুল ইসলাম বলেন, স্ক্যানার মেশিন বসানোর বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। দুই বছর আগে এটা নিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে। সমাধান এখনও হয়নি।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি মো. বদিউজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্ক্যানার মেশিন খুবই জরুরি। এ ছাড়াও প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ লোক আসা-যাওয়া করছে। অধিকাংশই চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। ইমিগ্রেশনে জনবলসহ অফিস বর্ধিত করলে হিলি সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করা লোকজন আরও কম সময়ে যেতে পারবেন।
“ইমিগ্রেশনে জনবল কম থাকায় চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া অসুস্থ মানুষদের লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ কষ্ট করতে হচ্ছে।”
দ্রুত সার্ভিস দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও কিছুই করার নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তা।