তাদের শঙ্কা, পদ্মা সেতু খুলে দিলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ চালু থাকবে নামমাত্র; এ পথের যাত্রীরা পদ্মা সেতু দিয়েই যাতায়াত করবেন।
আগামী দিনের রুটি-রুজির চিন্তায় স্বস্তিতে নেই দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় হকার আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে তারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তাদের উদ্বেগের কথা।
পদ্মা সেতু চালু হল এই ফেরি দিয়ে যাত্রী চলাচল কমে বেচাবিক্রিও কমার শঙ্কা হকারদের
টিটু বলেন, তার হোটেলে ১৪ জন কর্মচারী কাজ করেন। তাদের মাসে দেড় লাখ টাকা বেতন দেন তিনি। মাসে বিদ্যুৎ বিল আসে কমবেশি ১৩ হাজার টাকা।
১৫ বছরের বেশি সময় ধরে খাবার হোটেল চালাচ্ছেন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় হোটের মালিক টিটু শেখ
ত্রিশ বছর ধরে ফেরিঘাটে ঘোল বিক্রি করেন জিতেন চক্রবর্তী। তার দিন কাটছে দুশ্চিন্তায়।
জিতেন বলেন, “বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখা যাবে কিনা জানি না।”
২০ বছর ধরে ফেরিঘাটে ঘোল বিক্রি করে বাপ-দাদা পেশা ধরে রেখেছেন জিতেন চক্রবর্তী
লঞ্চে লঞ্চে ঘুরে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন আবজাল মিয়া। এই আয় দিয়েই তার সংসার চলে।
ফেরির যাত্রী কমে গেলে হকার ও ছোট ব্যসায়ীদের দুই বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হবে বলে শঙ্কা তাদের
চা দোকানি কামাল মণ্ডল মনে করেন, ঘাটের ওপর নির্ভরশীলদের অবস্থা হবে খুবই করুণ।
ফল, সেদ্ধ ডিম, ঝালমুড়ি এবং মুখরোচক খাবার বিক্রি করে এমন হকারের সংখ্যা হাজারের বেশি
“সরকার উদ্যোগ নিয়ে যদি কলকারখানার ব্যবস্থা করে তবেই ঘাট এলাকার এসব মানুষ বাঁচতে পারবে।”
সেতু চালু হলেও ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ ফেরি ব্যবহার করবেন বলে ধারণা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের
তবে এ পথের পরিবহন খাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান মৃধা।
ফেরিঘাট এলাকার দোকানিরা মনে করেন, তাদের অবস্থা আরও করুণ হবে
কুষ্টিয়া-দৌলতদিয়া পথের যাত্রীদের উদাহরণ টেনে মুরাদ বলেন, “এ এলাকার যাত্রী যারা দৌলতদিয়া হয়ে যাতায়াত করেন তারা ফেরি পার না হয়ে পদ্মা সেতু ঘুরে ঢাকায় যাবেন তা মনে হয় না। আমার মনে হয় পদ্মা সেতুর ফলে দৌলতদিয়া এলাকার ভোগান্তি কমবে।”
রাজবাড়ীর দৌলতিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জনপদের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করে