সোমবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তাসনিম জোহরা এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত প্রশান্ত বিশ্বাস (৪০) পিঠাভোগ গ্রামের প্রফুল্ল বিশ্বাসের (৬২) ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বরাতে তিনি বলেন, প্রফুল্ল বিশ্বাস কৃষিকাজ ও ধর্মীয় গান করতেন। তার বড় ছেলে প্রশান্ত দরজির কাজ ও ছোট ছেলে সুশান্ত বিশ্বাস ফরিদপুর জেলায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। প্রশান্ত বিয়ে করার জন্য প্রায়ই মা-বাবাকে চাপ দিতেন। এ নিয়ে তাদের পরিবারে কলহ লেগেই থাকত।
এর জেরে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাকে মারতে যান প্রশান্ত। পরদিন মা পাশের গ্রামে মামার বাড়িতে চলে যান। এরপরদিন সন্ধ্যায় সুভদ্রা বিশ্বাস নামের এক প্রতিবেশী নারী প্রফুল্লর গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় প্রফুল্লর ছোট ছেলে সুশান্ত বিশ্বাস বাদী হয়ে প্রশান্তকে আসামি করে রূপসা থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনার পর প্রশান্ত বেনাপোল হয়ে ভারতে চলে যান। সেখানে পশ্চিম বশিরহাটের একটি দোকানে দরজির কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে বনগাঁ গিয়ে কাজ করতে থাকেন।
তিন মাস পর অনুশোচনায় ভুগে দেশে ফিরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং জবানবন্দিও দেন।
একই বছরের ১২ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মাহফুজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।