মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় তার দাফন সম্পন্ন হয় বলে ইউএনও জাহিদুর রহমান জানান।
ওই এলাকার পান্নু মিয়া ছেলে রানা সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
শিবালয় ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনির হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রানার লাশ আসলে প্রথমে নবগ্রাম মাঠে রাখা হয়। সেখানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি বলেন, “রানা এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন। এলাকার সবাই তাকে বেশ পছন্দ করতো, ভালোবাসতো। তার এই অকাল মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না গ্রামবাসী।”
বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয়েছেন দুইশ’র বেশি মানুষ। ফায়ার সার্ভিস দলের সঙ্গে ওই ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারান রানা।
শিবালয় ইউপির চেয়ারম্যান মো. আলাল উদ্দিন জানান, ফায়ারম্যান রানা মিয়াকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
রানার পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন মানিকগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম।
এদিকে বড় সন্তানকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ রানার বাবা পান্নু মিয়া। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “রানাকে ঋণ করে পড়াশোনা করিয়েছি। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেলাম।”
রানা ২০২০ সালে চাকরিতে যোগ দেন। সীতাকুণ্ডই ছিল তার প্রথম কর্মস্থল।