কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার মো. ইমরান হোসেন মজুমদার (৪০) চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সিংড্ডা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
সীতাকুণ্ডে কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগে। সেখানে রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহুদূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে।
এখানে এরই মধ্যে প্রায় অর্ধশত লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে কয়েকজন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক।
ইমরানের ভাই সোলাইমান হোসেন বলেন, “শনিবার রাত ৮টার আগে আমার ভাই মোবাইল ফোনে তার স্ত্রীর সাথে শেষ কথা বলেন। তারপর সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে তার স্ত্রী বার বার ফোন দিয়ে তার ফোন বন্ধ পান।”
“রোববার সকালে তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও আমাদের পরিবারের লোকজন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সে কি বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে এই বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।”
ইমরানের স্বজন কবির হোসেন ও শাহিনুর বলেন, ইমরান ২০০১ সালে ফায়ার সার্ভিসে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার পদে কর্মরত ছিলেন।
ইমরানের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: