হত্যাচেষ্টার আসামি ‘প্রকাশ্যে’, গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ

পিরোজপুরে ইউনিয়ন যুবলীগের দুই নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুর বেড়ালেও গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ উঠেছে।

পিরোজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2022, 05:38 PM
Updated : 26 May 2022, 05:48 PM

এই আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার পিরোজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হামলার শিকার দুই ব্যক্তি ও স্বজনরা।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া এলাকায় হামলার শিকার হন শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রুহুল আমিন শেখ ও কদমতলা ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য নাদিম খান।

এ ঘটনায় প্রথমে সদর থানা মামলা নেওয়া হয়নি। পরে আদালতের আদেশে থানা মামলা গ্রহণ করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিরোজপুর সদর উপজেলা শিকদার মল্লিক ইউনিয়ের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রুহুল আমীন শেখ। তার পাশেই বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে উপিস্থত ছিলেন কদমতলা ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য নাদিম খান।

লিখিত বক্তব্য মো. রুহুল আমীন শেখ জানান, গত ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর সকালে তিনি বাড়ি থেকে পিরোজপুর সদরের ইউনিয়ন পরিষদে একটি কাজের জন্য রওনা দেন। পথে কদমতলা ইউনিয়নের পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের ঝনঝনিয়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে জোড়পূর্বক ধরে পোরগোলা গ্রামের একটি বাগানের নিয়ে ফারুক শেখ, গোলাম রব্বানী পিন্টু ও এস এম বায়জিদ হোসেন গং ধারালো অস্ত্র ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তাকে দুই পা পঙ্গু করে দেয় এবং মারধর করে। পরে তাকে মৃত ভেবে তারা পোরগোলার একটি বাগানে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আদালতের আদেশে সদর থানা মামলা নথিভুক্ত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি কদমতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য নাদিম খান পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিয়ে পিরোজপুর থেকে কদমতলা ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় সিহাব শেখ, ফারুক শেখ ও এস এম বায়জিদ হোসেন গং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাদিম খানের দেহ থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করে।

এ ঘটনায় হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

লিখিত বক্তব্য রুহুল আমীন শেখ আরও জানান, তাদের উপর হামলার মামলা হলেও আসামিরা এলাকা ঘুড়ে বেরাচ্ছে। এ দুইটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আসামি এস এম বায়জিদ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কদমতলা ইউনিয়ন যুলীগের সদস্য নাদিম খান বলেন, “হামলার শিকার হয়ে অঙ্গ হারিয়ে বিচারের দাবিতে মামলা দিয়ে আমার এখন আসামিদের সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে এক প্রকার পলাতক অবস্থায় আছি স্বাক্ষীদের নিয়ে।”

পুলিশ অজ্ঞাত কারণে তাদের গ্রেপ্তার করছে না উল্লেখ করে তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ সুপারের সহায়তা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দুই মামলার বাদী কামরুল শেখ ও তামান্না তমা, শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার।

অভিযোগের বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, “উক্ত মামলায় আসামির প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা না থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।”