অপরিপক্ক আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করণ ও ফরমালিন ব্যবহাররোধে ২৪ মে পর্যন্ত নওগাঁয় আম পাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছিল স্থানীয় প্রশাসন। সে অনুযায়ী বুধবার গুটি জাতের আম নামানোর মধ্যে দিয়ে জেলায় শুরু হয়েছে আম পাড়া উৎসব।
তবে গুটি আম পাড়ার প্রথম দিনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। আগামী ৩০ মে গাছ থেকে গোপালভোগ আম পাড়া উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
“কিন্তু প্রচণ্ড খরা ও পরপর দুবার ঝড়বৃষ্টিতে ১৭ হাজার হেক্টর বাগানের আমের ক্ষতি হয়েছে।”
তবে আমের গ্রোথ ভালো থাকায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় খুব একটা প্রভাব পড়বে না জানিয়ে এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, “করোনার প্রকোপ না থাকায় বাইরের পাইকাররা বেশি আসবেন। পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে। এর ফলে এবার আমচাষিরা ভালো দাম পাবেন এবং প্রকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন।”
চাষিরা বলছেন, দেশের অন্যতম প্রধান আম উৎপাদনকারি জেলা নওগাঁয় প্রচণ্ড খরা ও পরপর তিন বার ঝড়বৃষ্টিতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ আম গাছ থেকে ঝড়ে গেছে। এতে এ বছর আমের ফলন কমে গেছে। ফলে আমের দাম গত বছরের তুলনায় না বাড়লে ঝড়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না।
আমের দাম প্রতিমণ কমপক্ষে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা না হলে বাগান মালিকদের পক্ষে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব না বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী।
মহাদেবপুর উপজেলার আম চাষি হারুনুর রশিদ বলেন, “করোনার কারণে গত ২ বছর আমের ভালো দাম পাওয়া যায়নি। ঝড়বৃষ্টিতে আমের ক্ষতি হলেও আমের ভালো দাম পাওয়া গেলে চাষিরা ফলনের ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারবেন।”
তিনি বলেন, নওগাঁয় ধান বা অন্যান্য ফসলের চেয়ে আম চাষ লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে জেলায় আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। তাছাড়া নওগাঁর আম স্বাদে সুমিষ্ট এবং ‘শতভাগ ফরমালিনমুক্ত’ হওয়ায় সারাদেশে এর চাহিদা বাড়ছে।