এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি কেমন প্রধান শিক্ষক? আর শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন তিনি এ বিষয়ে অবগত না।
জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠ ভরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে, ইটের খোয়াসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী। একপাশে বিকট শব্দে চালানো হচ্ছে ইট ভাঙার যন্ত্র। এর মধ্যেই কিছু শিশু খেলাধুলা করছে। এর মধ্যেই চলছে পাঠদানও।
প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুর রশিদ মাঠ ভাড়া দেওয়ার কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “কিছুদিনের জন্য মো. জসিমউদ্দীন নামে এক ঠিকাদারের কাছে ৫০ হাজার টাকা এবং একটি সিসিটিভি মনিটরের বিনিময়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।”
এলাকার একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ”যে প্রধান শিক্ষকের এমন মানসিকতা, তিনি শিক্ষার্থীদের কেমন মানুষ করবেন তা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে।”
আরও কয়েকজন অভিভাবক বলছেন, তারাও শুনেছেন মাঠটি সাত লাখ টাকায় ভাড়া দেওয়ার কথা।
ঠিকাদার জসিমউদ্দীন বলেন, তিনি তিন মাসের জন্য মাঠটি ভাড়া নিয়েছেন।
“বিনিময়ে বিদ্যালয়কে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা আর একটি সিসিটিভি মনিটর।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না।
তিনি বলেন, “বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া দেওয়ার বিধান নেই। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”