সোমবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আবদুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান বলেন, “ঘটনার সময় আসামিরা সবাই কিশোর ছিল। এ কারণে তাদের কিশোর হিসেবে ধরে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আসামিদের বর্তমান বয়সকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ ও শিশু আদালতের বিশেষ পিপি ফরিদ আহমেদ জানান, ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে পাবলিক কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র নিহত হয়।
“অনুষ্ঠানস্থলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।”
এ ঘটনায় নিহত ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে পরদিন ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পিপি ফরিদ আহমেদ জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৭ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আইনজীবী ফরিদ বলেন, অভিযোগপত্রে হত্যার কারণ হিসেবে দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়। নিহত ছাত্রের এক সহপাঠী ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ এবং স্থানীয় দুইটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এই হত্যার পেছনে কাজ করেছে।
আদালত ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই রায় দিয়েছেন।
এদিকে এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিহতের মা বলেন, “বয়রা এলাকায় কয়েকটি কিশোর গ্যাং রয়েছে। এসব গ্রুপের সদস্যদের হাতেই আমার ছেলে খুন হয়েছে। আদালতে পুলিশের সামনেই আসামিরা আমাকে সাজা শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।”