সোমবার ভোর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মহসিনা হক কল্পনা এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রিপন পাটেয়ারীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে এবং আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রিপন পাটোয়ারীর লোকজন হামলা চালালে সহিংসতা বাঁধে।”
এলাকার বাসিন্দারা জানান, খুব সকালে শুরু হওয়া দুপক্ষের সহিংসতা ইউনিয়নটির মহেশপুর, পূর্ব মাকহাটি, মধ্য মাকহাটি, কংপুরা, রাজারচর, চরডুমুরিয়া, চৈতার চর, আমঘাটা, মুন্সীকান্দি ও বেহেরকান্দি গ্রামে ছড়িয়ে পরে।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হন মুন্সীকান্দি গ্রামের সেরাজুল ব্যাপারী (৬৫), কংসপুরা গ্রামের হানিফ মোল্লা (৩৮), একই গ্রামের কামাল হোসেন (২৮), চরডুমুরিয়া গ্রামের মতিন ঢালী (৩০) রাজারচর গ্রামের মোহম্মদ হোসেন (১৬)।
এদের মধ্যে সেরাজুল ও হানিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে পূর্ব মাকহাটি গ্রামের আহত সাজেদা বেগমও (৭৫) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা অভিযোগ করে বলেন, “মাকহাটি জে সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে সামনে রেখে একতরফা ভোট করতে রিপন পাটেয়ারীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। তারা গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ, লাঠিপেটা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।”
অপরদিকে চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মহসিনা হক কল্পনার লোকজনই এই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত।“