এই রোগ প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহে আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যাত্রীদের উপর সজাগ দৃষ্টি ও হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।
এর অংশ হিসেবে যশোরের বেনাপোল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউছুপ আলি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়ার পর রোববার সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের স্বাস্থ্য বিভাগকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
"আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর সজাগ দৃষ্টি ও হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করার পাশাপাশি তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানোর নির্দশনা দেওয়া হয়েছে।"
চেকপোস্ট স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার লক্ষ্মণদার দে বলেন, আক্রান্ত কোনো দেশের যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাদের প্রাথমিকভাবে থার্মালস্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষাসহ আক্রান্ত হলে আইসোলেশনে পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে।
ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মদ রাজু বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকেই পারাপার হওয়া বিদেশিদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমস ও স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, বাংলাদেশও মাঙ্কিপক্সের আক্রমণ থেকে ঝুঁকিমুক্ত নয়। তাই রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্থলবন্দরের হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স সন্দেহজনক রোগী শনাক্ত হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এবং আইইডিসিআর-এ পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।