‘জীবনটা হামার বাহে চ্যাপটা হইয়া গেছে’
আফতাবুজ্জামান হিরু, রংপুর প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 20 May 2022 10:00 PM BdST Updated: 21 May 2022 12:57 PM BdST
কোভিড মহামারীর কারণে প্রায় দুই বছর ধরে কাজের অভাব, ঋণের ভার, তারপর সম্প্রতি নিত্যপণ্যের চড়া দামে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে রংপুরের দর্জি বাদশা মিয়ার জীবন।
রংপুর শহরের শাহ জামাল মার্কেটে নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের যাতায়াত বেশি। ঘিঞ্জি এই মার্কেটের চার হাত দৈর্ঘ্য আর আড়াই হাত প্রস্থের খোলা জায়গায় সেলাই মেশিন নিয়ে বসেন বাদশা মিয়া। নতুন জামা বানানোর পাশপাশি পুরনো পোশাক মেরামত করা বা রিকশার ছাউনি সেলাই করে আয়রোজগার করেন বাদশা মিয়া।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফৈার ডটকমকে বলেন, উচ্চমাধ্যমিক ও নমব শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। থাকেন শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে চিলমন পাঙ্গাটারী এলাকায়।
“প্রতি মাসে দোকানের ভাড়া গুনতে হয় পাঁচ হাজার টাকা। আর এখন দ্রব্যমূল্যের যা ঊর্ধ্বগতি। জিনিসের দামের চাপে জীবনটা হামার বাহে চ্যাপটা হইয়া গেছে।”
দোকানটি ভাড়া নেওয়ার জন্য ৭৫ হাজার টাকা জামানতও দিতে হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাদশা মিয়া বলেন, বাড়ি থেকে আসা-যাওয়ার ভাড়া, দুপুরের খাবার, চা-নাশতার খরচসহ টুকিটাকি সব মিলিয়ে দিনে তার খরচ পড়ে ৬০০ টাকার বেশি। এছাড়া মাসের সংসার এবং ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ আছে। আর তিন হাজার টাকা দিতে হয় ঋণের কিস্তি।
“এখন বেলা বাজে দেড়টা, আয় করছি ১৫০ টাকা। তাহলে কন তো ভাই হামরা কেমন করে আছি?”
বাদশা মিয়ার মত শহরের নিম্নআয়ের অনেকেরই জীবনের গতি এখন নিম্নমুখী।
দশ বছর আগে ১৫ বছর বয়সে রংপুরের এরশাদ হকার মার্কেটে সেলাইয়ের কাজ শিখতে আসেন শামীম মিয়া। ধীরে ধীরে কাজ শেখার পর অবস্থা কিছুটা ফিরলে বিয়ে করেন। ঘরে কিছুদিন পর সন্তান আসে। বছর দুয়েক আগে নিজে একটি দোকান দেন শামীম।
শামিম বলেন, “বাবার কোনো জমি নাই। থাকি মামার দেওয়া জমিতে। হেইতে কোনো রহম একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই আছে। এইতে একটু আছান যে মাস শ্যাষে ঘরভাড়া গুনতে অয় না।”
ভালোই চলছিল শামীমের সংসার। কিন্তু মহামারী শুরু হলে বদলে যায় জীবন।
শামীম বলেন, “কোনো কোনো দিন এক থেকে দেড় হাজার টাকাও রোজগার হয়, কোনো দিন আবার খালি পকেটে ফিরতে হয় বাড়িতে।”
আগে কম আয়েও মোটামুটি সংসার চালিয়ে নিতে পারলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তা আর পারছেন না বলে জানান। ধারদেনা আর এনজিওর ঋণ দিয়ে এই চাপ সামলাচ্ছেন তিনি।
“ঋণ লইয়্যাই মরতে লাগবে। এ বেলার পানি ও বেলা, আর ওবেলার পানি এবেলা। এই হলো হামার জীবন। রাইতে ঘুমাইতে পারি না। ঘুম আসে না। রাত পোয়ালে টাকার দরকার হয়। বাজারে গেলে মাথা নষ্ট হয়। আমাদের এটা কেমন জীবন।”
-
পৌনে ৩ কেজির ইলিশ, বিক্রি ৮ হাজার টাকায়
-
কুমিল্লায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
-
ফুলবাড়ী সীমান্তে নদীতে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ পেল বিএসএফ
-
রূপগঞ্জে ২ স্কুলছাত্রীকে পিটুনি: শিক্ষক বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি
-
বিলাইছড়ি হত্যাকাণ্ড: পাড়াছাড়া মানুষদের নিরাপত্তা দাবি, হুমকির অভিযোগ
-
সিলেটে ট্রাক চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
-
নোয়াখালীতে বিআরটিসি বাস চালুর একদিনেই বন্ধ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
-
পৌনে ৩ কেজির ইলিশ, বিক্রি ৮ হাজার টাকায়
-
ফুলবাড়ী সীমান্তে নদীতে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ পেল বিএসএফ
-
কুমিল্লায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেঘনার ভাঙন, বিলীন ‘২৫’ ঘর-বাড়ি
-
রূপগঞ্জে ২ স্কুলছাত্রীকে পিটুনি: শিক্ষক বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি
-
নোয়াখালীতে বিআরটিসি বাস চালুর একদিনেই বন্ধ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
-
পৌনে ৩ কেজির ইলিশ, বিক্রি ৮ হাজার টাকায়
- নাম বিভ্রাটে ছেড়ে দিয়ে বিয়ের আসর থেকে ফের গ্রেপ্তার
- ব্যাটিং হতাশার ফাঁকে সাকিব-সোহানের ক্যামিও
- এনামুলকে মনে ধরেছে ডমিঙ্গোর, তবে…
- ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সেতু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
- বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত
- রেকর্ড হারানো লারা অভিনন্দন জানালেন বুমরাহকে
- গ্রামীণ টেলিকমকর্মীদের আইনজীবী বললেন, অর্থ পেয়েছি ফি হিসেবে
- ‘পাওয়ারফুল’ সোহানকে নিয়ে ডমিঙ্গোর যে আশা
- এলোমেলো বোলিং, দিশাহীন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বড় হার
- নারায়ণগঞ্জে শিক্ষকের পিটুনিতে আহত দুই ছাত্রী হাসপাতালে