তিনি বলেন, “চুক্তি বাস্তবায়ন করবে কিনা, সরকারের কাছে এই অঞ্চলের মানুষের বহুদিনের প্রশ্ন। যে জুম্ম জনগণকে নিয়ে চুক্তি হয়েছিল তাদের ধ্বংস করার জন্য সরকার প্রতিনিয়ত মামলা ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ছাত্র জনসমাবেশে রাঙামাটি জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শুক্রবার সকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বকে ধ্বংসের জন্য দমন-পীড়নসহ সবকিছুই করছে এই সরকার। আমাদের সবকিছুই নতুন করে ভাবতে হবে।”
তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে একটি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে এলেও সরকার তা নিয়ে টালবাহনা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমন মারমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন কণা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ছিলেন।
সমাবেশে শেষে সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বনরূপা ঘুরে আবার জিমনেসিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
পাহাড়ি জনগণের জন্য পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দাবিতে ১৯৭৩ সালের মার্চে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গড়ে ওঠে। পরে এর সঙ্গে যোগ হয় এর সামরিক শাখা, যার নাম শান্তি বাহিনী।
তার প্রায় ২৫ বছর পরে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায়।