ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননের জন্য বঙ্গোপসাগর ও নদী মোহনায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
টেকনাফ উপকূলের জেলেরা বলছেন, রোজার মাসে সাগরে মাছ ধরা পড়েনি; ঈদের পর থেকে সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এরই মধ্যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের বাস। বৃহস্পতিবার বিকালে দ্বীপের পশ্চিম সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক’শ ডিঙি নৌকা বালুচরে নোঙর করে রাখা। জেলেরা চরে ও নৌকায় বসে মাছ ধরার জাল মেরামত করছেন।
শাহ পরীর দ্বীপের পশ্চিত পাড়া সৈকত থেকে উত্তর দিকে হারিয়াখালী, সাবরাং মুণ্ডারডেইল, টেকনাফের মহেশখালিয়াপাড়া, বাহারছড়া, শাপলাপুর, মনখালী সৈকতে লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা রঙের আরও কয়েক’শ ডিঙিনৌকা নোঙর করা দেখা গেছে।
নিষেধাজ্ঞা চলকালে জেলেদের চালের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও দাবি দিয়েছেন জেলে নেতারা।
জেলে নেতা আবদুল গফুর বলেন, “সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে যেতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু উপকূলের কাছাকাছি ছোট মাছ ধরার নৌকার ওপর কেন এই বার্তা, তা বোধগম্য নয়। জেলেদের পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কমিয়ে ৩০ দিনে করার দাবি জানাচ্ছি।”
“মাছ আহরণ বন্ধ থাকলে সরকারিভাবে বেকার জেলেদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়। কিন্তু ডিঙিনৌকার ৫ হাজার জেলে এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত।”
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে ইলিশের প্রজননসহ মৎস্যভাণ্ডার সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো ট্রলার যেন সাগরে না নামে, সে জন্য মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে উপকূলে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এছাড়া সাগর উপকূলে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।