মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এর প্রতিবাদসহ বিচার দাবি করেছে উপজেলার সাতবাড়িয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা; যাতে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এই ছাত্রী অভিযোগ করেন, স্কুলে যাতা-আসার পথে প্রায়ই পথ আটকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন এলাকার ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর।
“বুধবার বান্ধবীদের সঙ্গে স্কুল ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তা অবরোধ করে নানা ধরনের কথা বলতে থাকে। আমি রাজি না হওয়ায় রাস্তা থেকে টেনে পাশে নিয়ে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়।”
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে কিশোরটি পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন স্কুলছাত্রীকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তাকে সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফারজানা আক্তার বলেন, “আঘাত গুরুতর হলেও এখন ওই শিক্ষার্থী আশংকামুক্ত।”
ঘটনার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন বাদী হয়ে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ফকিরপুর গ্রামের ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিদ্যালয়টিতে নয় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে জানিয়ে আলাল উদ্দিন বলেন, “ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা শোকে-দুঃখে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।”
হামলাকারী কিশোরকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হান্নান।
এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনার প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। তাছাড়া তারা বিচার দাবি করে। কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও।
শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।