বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।
নুর মোস্তফা নামের ওই শিশু কুতুপালং ১ নম্বর ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের বাসিন্দা নুর আলমের ছেলে।
এক সপ্তাহ আগে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান নুর আলম ও তার ১২ বছর বয়সী ছেলে আনোয়ার মোস্তফা। এর একদিন পরই চলে গেলে তার আরেক ছেলে।
একই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে হাফিজুল ইসলাম নামে সাত বছর বয়সী দগ্ধ আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। সে কুতুপালং ১ নম্বর ইস্ট রোহিঙ্গা শিবিরের আলী আহমেদের ছেলে।
দগ্ধ আরও দুইজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান এপিবিএনের পুলিশ সুপার।
১২ মে সকালে রান্না করার সময় ‘গ্যাসের চুলার সংযোগ পাইপ বিচ্ছিন্ন হয়ে’ আগুন লাগলে নুর আলম, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান দগ্ধ হয়। এ সময় আরও দুই প্রতিবেশী তাদের সাহায্য করতে গিয়ে দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে পাঠায়।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে শিশু নুর মোস্তফার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আগে মারা যাওয়া তিনজনের লাশও হস্তান্তর করা হয়েছে।