নারীকে পাচার ও বিক্রির দায়ে দম্পতির মৃত্যুদণ্ড

ভালো বেতনে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ভারতে পাচার ও বিক্রির দায়ে এক দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে খুলনার একটি আদালত।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2022, 10:33 AM
Updated : 18 May 2022, 12:11 PM

বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আবদুস সালাম খান দম্পতির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদ আহমেদ জানান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার বাসিন্দা মো. শাহীন শেখ ও তার স্ত্রী আছমা বেগম ওরফে সালমা।

মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী বলেন, তরুণীও খানজাহান আলী থানা এলাকার বাসিন্দা। ২০০৯ সালে তাকে পাচার ও বিক্রি করা হয়। মেয়েকে ফেরত চাইলে আসামিরা পরিবারের কাছে উল্টো ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। মেয়েকে আর ফেরত পাওয়া যায়নি।

তরুণীর মা বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ২৪ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন। মোট আটজনের সাক্ষ্য শুনে বুধবার রায় দিল আদালত।

যখন এ মামলায় অভিযোগ গঠন হয়েছিল, সে সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৬ (১) ধারায় পাচার ও বিক্রির বিষয়টি ছিল। ২০১২ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন হলে ওই অংশটি সেখানে সন্নিবেশিত হয়।

মানবপাচার আইনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীর একাধিক সদস্য আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের জন্য মানবপাচারে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় শাহীন ও তার স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

তবে অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী ফরিদ।