সুনামগঞ্জে দুই শতাধিক স্কুল প্লাবিত, ২৮টি সাময়িক বন্ধ

ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জ জেলায় দুই শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিশামস শামীম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2022, 07:01 PM
Updated : 17 May 2022, 07:01 PM

এ কারণে মঙ্গলবার ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়নি বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) এসএম আব্দুর রহমান জানান।

আব্দুর রহমান জানান, সোমবার রাতের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মঙ্গলবার সকাল থেকে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দোয়ারাবাজার, ছাতক উপজেলা প্লাবিত হয়েছে বেশি। এছাড়াও সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জ উপজেলাসহ পাঁচটি উপজেলার ২১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে।

এর মধ্যে ছাতকে ১৭২, দোয়ারাবাজারে ২৩, সদর উপজেলার ২০ এবং শান্তিগঞ্জের একটি স্কুলে পানি প্রবেশ করেছে; এতে স্কুলের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতিসহ পাঠদানও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।

“ছাতক, দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর উপজেলার ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যাশ্রয় কেন্দ্র এবং ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় মঙ্গলবার থেকে ২৮টি বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।”

বন্যা পরিস্থিতির কারণে এই ২৮টি বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার পাঠদান হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যে ২১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে তা বিলম্বিত হলে অবকাঠামোগত ক্ষতির আশঙ্কা আছে। তবে পানি ২-১ দিনের মধ্যে নেমে গেলে বড়ো ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। এই ক্ষতি ক্ষুদ্র মেরামত ও স্লিপের বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার করা যাবে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, “হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর আমরা বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চারদিকে পানির কারণে অভিভাবকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। তবে বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকদের উপস্থিতি আগের মতোই বাধ্যতামূলক রয়েছে।”

সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরপিন নগর পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় মঙ্গলবার সকালেই প্লাবিত হওয়ায় মঙ্গলবার পাঠদান হয়নি।

পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, পৌরসভা পরিচালিত উত্তর আরপিননগর পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে মঙ্গলবার পাঠদান হয়নি। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে পাঠদান বন্ধ থাকবে।