এ কারণে মঙ্গলবার ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়নি বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) এসএম আব্দুর রহমান জানান।
এর মধ্যে ছাতকে ১৭২, দোয়ারাবাজারে ২৩, সদর উপজেলার ২০ এবং শান্তিগঞ্জের একটি স্কুলে পানি প্রবেশ করেছে; এতে স্কুলের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতিসহ পাঠদানও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
“ছাতক, দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর উপজেলার ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যাশ্রয় কেন্দ্র এবং ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় মঙ্গলবার থেকে ২৮টি বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।”
বন্যা পরিস্থিতির কারণে এই ২৮টি বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার পাঠদান হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যে ২১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে তা বিলম্বিত হলে অবকাঠামোগত ক্ষতির আশঙ্কা আছে। তবে পানি ২-১ দিনের মধ্যে নেমে গেলে বড়ো ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। এই ক্ষতি ক্ষুদ্র মেরামত ও স্লিপের বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার করা যাবে।
সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরপিন নগর পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় মঙ্গলবার সকালেই প্লাবিত হওয়ায় মঙ্গলবার পাঠদান হয়নি।
পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, পৌরসভা পরিচালিত উত্তর আরপিননগর পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে মঙ্গলবার পাঠদান হয়নি। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে পাঠদান বন্ধ থাকবে।