ভারতের ‘যৌনপল্লি’ থেকে ঝালকাঠির তরুণীর ফেরা ৭ বছর পর

ভারতে ‘পাচার হওয়া’ ঝালকাঠির এক তরুণী দেশে ফিরেছেন সাত বছর পর। সেদিনের ১২ বছরের কিশোরী এখন ১৯ বছর বয়সী তরুণী।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2022, 05:37 PM
Updated : 16 May 2022, 06:02 PM

ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ সোমবার তাকে মায়ের জিম্মায় দিয়েছেন বলে এই আদালতের আইনজীবী বনি আমিন জানান।

গত ৫ মে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন এই তরুণী। সোমবার সকালে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ঝালকাঠির মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন মেয়েটির মা।

ওই মামলার আইনজীবী বনি আমিন জানান, ২০১৫ সালের ৫ জুন সকালে মেয়েটিকে খুলনায় বাসায় কাজ দেওয়ার কথা বলে একটি মানব পাচারকারী চক্র ঝালকাঠি থেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়।

বনি আমিন বলেন, পরে ভারতের পুলিশের সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে বেঙ্গালুরুর একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখে। এ ঘটনায় বেঙ্গালুরুর কৃষ্ণাগিরি জেলার হুডকো থানায় একটি মামলা করে ভারতীয় পুলিশ। ভারতের বিচার সম্পন্ন হওয়ার পর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের মাধ্যমে তাকে গত ৫ মে স্থলবন্দর বেনাপোলে বাংলাদেশের একটি সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করে।

মেয়েটির মায়ের মামলার বরাতে বনি আমিন বলেন, ওই তরুণী অপহরণের ঘটনায় তার মা আদালতে মামলা করলে বিচারক মো. শফিকুল করিম ঝালকাঠি থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। পরে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র জমা দেন।

ওই মামলার আসামিরা হলেন খুলনার খালিশপুরের মুমিন হাওলাদারের স্ত্রী হাসিনা বেগম, একই এলাকার কবির হোসেনের স্ত্রী ঝুমুর আক্তার ও ঝালকাঠির ইন্দ্রজিৎ শিকদারের স্ত্রী মিনতি শিকদার।

আসামিরা তখন গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে ছাড়া পান। বর্তমানে ১৯ বছরের ওই তরুণী আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।