বৃহস্পতিবার রংপুর নগরীর থানা রোডের বাসিন্দা অমিত বণিক রংপুর মুখ্য মহানগর হাকিম এফ এম আহসানুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে।
ইতোমধ্যে শামীমা নাসরিন অন্যান্য মামলায় জামিনে মুক্ত হলেও এই মামলায় তার বিরুদ্ধে আবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হলো। রাসেল কারাগারেই আছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন লোভনীয় অফারে ওয়াশিং মেশিন, কম্পিউটার মনিটর, গ্যাসের চুলা, টিভি, সিসি ক্যামেরাসহ নানা পণ্য সরবরাহের কথা বলে ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী সময়ে তিন দফায় ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা।
মামলার বাদীর আইনজীবী সিপন সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা করেননি আসামিরা। এ ঘটনায় টাকা লেনদেনের উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আদালত শুনানি শেষে ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করেছেন।
প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে ইভ্যালি এমডি রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকটি মামলা হয়েছে বিভিন্ন জেলায়।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়েছে ইভ্যালি।
আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত জুলাই মাসে দুদকের আবেদনে আদালত ইভ্যালির শীর্ষ কর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
আট মাস কারাবন্দি থাকার পর জামিন পেয়ে এ বছরের ৬ এপ্রিল কারামুক্ত হন শামীমা। তবে শামীমার স্বামী ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি মো. রাসেল গত ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার নয় মামলায় জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় এখনও মুক্তি পাননি।
আরও পড়ুন: