ঠিকাদারির বিরোধ: ফেনীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রলীগ সভাপতিকে ‘পিটিয়ে আহত’

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজের ঠিকাদারি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2022, 05:12 AM
Updated : 12 May 2022, 11:28 AM

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেনের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

‘নির্মাণ বিল্ডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার রবিউল এ হামলার ঘটনায় দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবিরকে দায়ী করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিদারুল ।

রবিউল বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজের জন্য তিন মাস আগে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ‘নির্মাণ বিল্ডার্স’ কাজটি পায়। গত ১০ এপ্রিল দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

“ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ বুঝে নিতে বুধবার আমি ফেনী স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। এ সময় ৮-১০ জন যুবক আমার উপর হামলা চালিয়ে আমাকে পিটিয়ে জখম করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে লোকজন গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”

ঘটনার বর্ণনায় প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদার রবিউল কাজ বুঝে নিতে এসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে তার মাথা, নাক, ঘাড় ও পা রক্তাক্ত করে।

হামলাকারীদের চেনেন কিনা এমন প্রশ্নে নজরুল বলেন, “হামলাকারীরা কে বা কারা, সে বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে হামলার বিষয়টি থানায় জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, কিন্তু এর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রবিউল সাংবাদিকদের বলেন, “হামলাকারীদের হাতে লাঠি ও লোহার রড ছিল। হামলার সময় তারা বলছিল, দিদার ভাইয়ের (দিদারুল কবির) অনুমতি ছাড়া আমি কেন এখানে কাজ করতে এসেছি।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিদারুল। তার ভাষ্য, রবিউলের উপর কে হামলা করেছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তারপরও অনেকে এ ঘটনায় তাকে জড়ানোর চেষ্টা করছে।

তার আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি। 

এ বিষয়ে দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম বলেন, “হামলার কথা শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে হামলাকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি বুধবার রাত পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি।”

অভিযোগ পেলে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।