মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনার পর রাতেই সরিষাবাড়ী থানার চার এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত এবং দুই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সুপার মো. নাছির উদ্দীন আহমেদ জানান।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে ওসির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরখাস্ত এসআই হলেন- আলতাব হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলী ও মুন্তাজ আহমেদ।
সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে- কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ও সাথী আক্তারকে।
“আদালতের আদেশ অমান্য করে সোমবার সকালে মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে আব্দুল জলিলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল জলিল, তার স্ত্রী লাইলী বেগম, বড় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, মেজো ছেলে ওয়ায়েজ করোনি, ছোট ছেলে হামদাদুল হক, জসিম মিয়া আহত হয়। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চারজনকে ভর্তি করে।”
এ ঘটনার পর প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে চিকিৎসাধীন আব্দুল জলিলের পরিবারের সদস্যসহ ১৫ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।
আব্দুল জলিলের জামাতা চান মিয়া অভিযোগ করেন, তারা মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। নির্যাতন করে গ্রেপ্তারের পর হাসপাতাল থেকে চারজনের নামে ছাড়পত্র নিয়েছে পুলিশ।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, “আহতদের চিকিৎসা চলার মধ্যেই পুলিশ হাসপাতাল থেকে রোগীদের ছাড়পত্র নিয়েছে। চিকিৎসাধীন আসামিদের যেভাবে আটক করা হয়েছে, তা অমানবিক।”