সিলেটে রায়হান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আসামিদের রিট পিটিশন ও কোর্ট রেফারেন্সের কারণে একদিন পিছিয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2022, 08:59 AM
Updated : 10 May 2022, 08:59 AM

মঙ্গলবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহিমের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর নির্ধারিত দিন থাকলেও তা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নওশাদ আহমদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, মামলার বাদী নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নীকে এজলাসে উঠানোর পর আসামিপক্ষের আইনজীবী সময় প্রার্থনা করেন। পরে তিনি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিলের কপি আদালতে জমা দেন।

এ ছাড়া একজন আইনজীবী মারা যাওয়ায় কোর্ট রেফারেন্সের কারণে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ বুধবার নির্ধারণ করেন বিচারক।

এর আগে দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয় মামলার আসামি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে।

গত ১৮ এপ্রিল সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে আলোচিত এ মামলা অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়।

২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলায় পাঁচ পুলিশসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।

অভিযুক্তরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ ও ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।

এদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

রায়হান হত্যার পরদিন ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এক হাজার ৯৬২ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সাক্ষী রাখা হয় ৬৯ জনকে। সাক্ষীদের মধ্যে ১০ জন ১৬৪ ধারায় এরই মধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনই পুলিশ সদস্য। রায়হানের শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন নিরূপণকারী ফরেনসিক চিকিৎসককেও মামলার সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: