নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, “পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ পেছানো হয়নি। আগামী জুনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে।”
এর আগে ৪ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জুনেই পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
তার দুদিন পর জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তরে পদ্মা সেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন।
এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে মন্ত্রী বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বিষয়টি পুনরায় তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মূল সেতুর নির্মাণ ও নদী শাসন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় প্রথম স্প্যান।
মাঝে ২২টি খুঁটির নিচে নরম মাটি পাওয়া গেলে নকশা সংশোধনের প্রয়োজন হয়। তাতে বাড়তি সময় লেগে যায় প্রায় এক বছর।
এরপর করোনাভাইরাস মহামারী আর বন্যার মধ্যে কাজের গতি কমে যায়। সব বাধা পেরিয়ে অক্টোবরে বসানো হয় ৩২তম স্প্যান। এরপর বাকি স্প্যানগুলো বসানো হয়ে যায় অল্প সময়ের মধ্যেই।
৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রায় তিন বছর পর বৃহস্পতিবার নোয়াখালীতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এখানে আসা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “এলাকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনও বিচ্ছিন্ন হয়নি। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, আইসিইউ প্রতিস্থাপন, খাদ্য সামগ্রী, ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছি।”
অনেকদিন মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে না পেরে মনটা বিষণ্ন ছিল বলে জানান তিনি।
অনেকদিন পর এলাকায় আসার অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যারা আমার ভোটার তাদের মধ্যে আসতে পেরে ভালো লাগছে। নিজের বাড়িতে এসেছি, নিজের খাবার খেয়েছি, নামাজ পড়েছি। আমার আজকে অনেক ভালো লেগেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।”
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, গত ‘১৩ বছরে বিএনপি ২৬ বার’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনে মানুষ হাসে।
এ সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন