গুণে-মানে বাড়ে চা, শ্রমিকের দিন বদলায় না
বিকুল চক্রবর্তী, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 01 May 2022 04:16 PM BdST Updated: 01 May 2022 05:10 PM BdST
দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখলেও যাদের হাত ধরে এ উন্নয়ন, সেই চা শ্রমিকদের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
চা শ্রমিকরা বলেছেন, প্রতিবছর মে দিবস এলেই নিজেদের অধিকার আদায়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন নেতারা। কিন্তু তাতে শ্রমিকদের ভাগ্য ফেরে না। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাতা তোলেন চা শ্রমিক নারীরা। যাদের হাতের পরশে অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়; তাদেরই বেতন বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ৫০ বছরের হলেও চা শ্রমিকদের শ্রম-ঘামের ইতিহাস প্রায় পৌনে ২০০ বছরের। এ বছর মে দিবসে ভূমি অধিকার প্রদান এবং জীবন চলার উপযোগী করে বেতন বৃদ্ধি চা শ্রমিকদের প্রধান দাবি।
বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলায় ৯৩টি চা বাগানে প্রায় ৮০ হাজার শ্রমিক রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা জানান।

চা শ্রমিক নেতা শ্রীমঙ্গল রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী বলেন, “বর্তমানে চা বাগানে বেড়েছে জনসংখ্যা। প্রতি ঘরে অন্তত দুই-তিন জন করে কাজ করার সক্ষমতা থাকলেও বাগানে কাজ মাত্র একজন করে। কোনো কোনো পরিবারের কাজ আবার অস্থায়ী। তাদের দৈনিক বেতন মাত্র ৮৫ টাকা। শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্যানিটেশনও অপ্রতুল।”

শ্রমিকদের শিক্ষার মান বাড়াতে দেশের সকল চা বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা জরুরি বলে মনে করেন চা শ্রমিক নেতা মো. সেলিম হক।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সব চা বাগানের বিদ্যালয় স্থাপন হয়নি। শুধুমাত্র শ্রীমঙ্গলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েকবছর আগে একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।”

চা বাগান করতে গিয়ে বহু মানুষ সাপের দংশনে ও বন্যপ্রাণীর আক্রমণে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। টাকা না থাকায় তাদের আর নিজ দেশে ফেরা হয়নি। বাধ্য হয়ে যুগের পর যুগ তারা চা উৎপাদনের সঙ্গেই মিশে থাকেন।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেটের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী বলেন, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বাগান মালিকরাও কাজ করছেন। বর্তমান বেতন ১২০ টাকা হলেও এর সঙ্গে ঘর, চিকিৎসা, রেশন, জ্বালানি সংযুক্ত করলে তাদের বেতন পড়ে প্রায় সাড়ে ৩০০ টাকা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক বলেন, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের পরিপ্রেক্ষিতে চা বাগানের শ্রমিক পোষ্যদের শিক্ষার মান উন্নয়নে বাংলাদেশ চা বাগান শ্রমিক শিক্ষা ট্রাস্ট গঠিত হয়। ট্রাস্ট গঠনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজারের অধিক শ্রমিক সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
প্রাধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে অনান্য সুবিধাও অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
-
পঞ্চগড়ে ১৮ লাখ টাকায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করানোর চুক্তি
-
মোটরসাইকেল চালুর দাবিতে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় মানববন্ধন
-
যশোরের সীমান্তে ১৮ কেজি রুপার অলংকার আটক
-
পঞ্চগড়ে চাহিদার দেড় গুণ পশু, বিক্রি নিয়ে শঙ্কা
-
মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা দেওয়ার পর মরল ১৪০০ হাঁস
-
ঝালকাঠির বিশখালিতে কচুয়া-বেতাগী ফেরি উদ্বোধন
-
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দল শিক্ষার্থীর সংঘর্ষে আহত ৬
-
ঈদে ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ দিনের ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেন
- সঙ্কট আসতে পারে, প্রস্তুত থাকতে হবে: কাদের
- বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখাটাই কষ্টকর হয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী
- কোথায় কখন লোড শেডিং, সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
- লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল নিবন্ধন আর নয়
- পিএসজির নতুন কোচ গালতিয়ে
- শাস্তি পেল বাংলাদেশ দল
- ফিরে আসা লোড শেডিংয়ে নাজেহাল নগর জীবন
- প্রতারকের খপ্পরে পড়ে হজে যাওয়া হচ্ছে না ৩০০ জনের
- মোবাইল থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সীমা নির্ধারণ
- ইংল্যান্ডের চেয়ে সাহসী কেউ নয়, দাবি স্টোকসের