কিশোরী ফুটবলারকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় ছাত্রলীগের সেই নেতা কারাগারে

ময়মনসিংহে কিশোরী ফুটবলারকে ‘ধর্ষণকাণ্ডে’ ধর্ষণচেষ্টার মামলায় রিমান্ড শেষে ছাত্রলীগের নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2022, 12:02 PM
Updated : 30 April 2022, 12:02 PM

জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম মাহবুবা আক্তার শনিবার বিকালে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামি ওয়াহিদুল আলম ফকির ফয়সাল নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

এর আগে বৃহস্পতিবার ডিবি পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

বুধবার রাতে মামলাটি নান্দাইল থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি সফিকুল ইসলাম জানান।

আদালত পুলিশের পরির্দশক প্রসুন কান্তি দাস বলেন, রিমান্ড শেষে ফয়সালকে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রিমান্ডে দেওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে ডিবির ওসি সফিকুল জানিয়েছেন।

গত ২২ এপ্রিল জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলের এক কিশোরী ফুটলারকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওয়াহিদুল আলম ফকিরের বিরুদ্ধে।

পরদিন শনিবার ওই কিশোরী থানায় ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ দিলেও পুলিশ ‘ধর্ষণচেষ্টার’ মামলা নথিবদ্ধ করে। ‘কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ উঠায় শুক্রবার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ হাসানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

কিশোরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি ফয়সালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ফয়সালের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। কিশোরী কলেজে যাওয়া-আসার সময় ফয়সাল তার খোঁজখবর নিতেন।

“শুক্রবার উপবৃত্তির ফাইলে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা বলে ফয়সাল আমাকে কলেজে ডেকে নেন। কলেজে গেলে ফয়সাল আমাকে মুখ চেপে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও করে রাখেন। এতে সহযোগিতা করেন তার সহযোগী আলামিন ও অজ্ঞাত আরও একজন। মাটিতে ফেলে আলামিন আমার পা ধরে রাখে।

ঘটনা কাউকে বললে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন ফয়সাল। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আমার পরিবার।”

বাড়ি ফিরে সবাইকে বলার পর কিশোরী পুলিশে অভিযোগ দিতে যান।

কিশোরীর বক্তব্য, “ওসি স্যারকে সবকিছু খুলে বলার পর তারা ‘ধর্ষণ’ মামলার বদলে ‘ধর্ষণচেষ্টার’ মামলা নিয়েছে। পুলিশ আমাদের সঙ্গে অবিচার করেছে। তারা এটা কেন করেছে বুঝতে পারছি না।”

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটি তদন্ত চলছে। ভিকটিমের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পেলে সেই অনুযায়ী অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

আরও পড়ুন