যাত্রী ও চালকরা বলছেন, গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত যেতে গাড়িগুলোর স্বাভাবিকের একটু বেশি সময় লাগছে; তবে চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা, তারপর বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে আর কোনো ঝামেলা তারা পাননি।
ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের পথে ১৭ বছর ধরে গাড়ি চালান শংকর বাবু (৪৫)।
“তবে আমার ১৭ বছরে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে এমনটা দেখি নাই। খুব স্বাভাবিক। পরে কী হবে জানি না।”
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল হয়ে ধনবাড়ী উপজেলায় যায় বিনিময় পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস। সেই বাসের সুপারভাইজার লাল মিয়া (২৮)।
এলেঙ্গা মোড়ে সকাল ৯টায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহাখালী থেকে যাত্রী নিয়ে গাড়ি ছাড়ছে সকাল ৬টায়। ঢাকা শহরে কিছুটা যানজট আছে। সময়টা নিছে গাজীপুর পার হইতে। তবে চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা ফাঁকা। গাড়ি টেনে আসতে পারছে। কোনো সমস্যা হয় নাই।”
“এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইলও তো স্বাভাবিক থাকার কথা। গেলে বুঝতে পারব।”
শনিবার সকালে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস থেকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব সংযোগ সড়কের গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত ঘুরে কোথাও যানজট দেখা যায়নি। পথটিতে অন্যদিনের চেয়ে চাপ থাকলেও গাড়ি চলছে স্বাভাবিক গতিতেই।
বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু পূর্ব সাইড অফিসের চলতি দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুম বাপ্পী বেলা ১২টায় বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে মোট ৪২ হাজার ১৯৯টি গাড়ি চলাচল করেছে। টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ১৮ লাখ আট হাজার টাকা।
“মহাসড়কে কোথাও কোনো যানজট নেই। পুলিশ সড়কে দায়িত্ব পালন করছে।”