মহামারীতে মাঝখানে কিছু সময় বাদে পুরো সময়ই চিকিৎসা ভিসা চালু ছিল; বন্ধ ছিল ভ্রমণসহ অন্যান্য ভিসা। এখন ভ্রমণ ছাড়াও রয়েছেন ঈদের কেনাকাটার বিষয়। তাই সব মিলিয়ে ভিড় লেগেই আছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন, করোনাকালে দৈনিক ৪-৫শ যাত্রী পারাপার হলেও গত তিনদিনে তা বেড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
"চলতি মাসের ১৮ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত আট দিনে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ২০ হাজার ৪৮০ জন দেশি-বিদেশি পারাপার হয়েছেন। এর মধ্যে ভারতে বাংলাদেশি গেছে ১০ হাজার ৫৮৫ জন; ভারতসহ অন্য বিদেশি যাত্রী গেছে ২ হাজার ৮৪৯ জন। একই সময়ে ভারত থেকে ফিরেছেন বাংলাদেশি ৫ হাজার ১০৯ জন এবং ভারতসহ অন্য দেশের ১ হাজার ৯৩৭ জন। গত দুই সপ্তাহে যাত্রী ব্যাপক হারে বেড়েছে।"
বরিশাল থেকে আসা নুরুজ্জামান তালুকদার (৪০) বলেন, “রাত জেগে বেনাপোল এসেছি। এখানে এসে দেখছি দীর্ঘ লাইন। এই লাইন থেকে বের হতে প্রায় ৩ ঘণ্টা লেগেছে। আবার প্রত্যেকের কাছ থেকে 'যাত্রী সেবার' নামে টার্মিনাল ফি নিয়েছে ৫০ টাকা। অথচ এখানে যাত্রী সেবার কোনো বালাই নেই।”
ভারত ফেরত ঢাকার ইব্রাহিম খলিল বলেন, “টুরিস্ট ভিসায় ভারত গেছিলাম। পরিবার পরিজনের কিছু ঈদের গিফট কিনে লইয়াইছি। প্রতিবছর কলকাতা নিউমার্কেট থেকে ‘মার্কেটিং’ করি। দুবছর করোনায় যেতে পারিনি।”
ইমিগ্রেশনের ওসি মোহাম্মাদ রাজু জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ভারত সরকার 'ভ্রমণ ভিসা' দেওয়ায় যাত্রী সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। ইমিগ্রেশনে যাত্রীসেবার মান বেড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা দ্রুত যাতে ভারতে প্রবেশ করতে পারে তার জন্য ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।