মঙ্গলবার রাতে কাউনিয়া, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া উপজেলায় এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। তবে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও নিরূপণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
বুধবার রংপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, শিলাবৃষ্টির আঘাতে কোথাও কোথাও মাটিতে নুয়ে পড়েছে সবুজ ক্ষেত। এতে ধান আর ভুট্টার ক্ষতি হয়েছে। আধাপাকা ও পাকা গম মাটিতে শুয়ে পড়েছে। কলাগাছ ভেঙে গেছে। হাঁড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ, পদাগঞ্জ ও বদরগঞ্জের শ্যামপুরেও বাগানের ক্ষতি হয়েছে।
ঝড় থেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন জানিয়ে চেয়ারম্যান দাবি করেন, তার ইউনিয়নে অর্ধশত বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে তালিকা করে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
ঝড়ে কাউনিয়ার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। ঝড়ে গাছ ভেঙে রেললাইনের ওপর পড়ায় সকালে মীরবাগে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।