জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবার তিনি হ্যালিকপ্টারযোগে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে নামবেন; দুপুরে স্থানীয় একটি রিসোর্টে খাওয়াদাওয়া করবেন; সুন্দরবনে ঘুরবেন। দুপুরের পর ঢাকায় ফিরে যাবেন।
রাজকুমারীর নিরাপত্তার কারণে বুধবার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ থেকে কলাগাছিয়া পর্যন্ত এলাকায় কাউকে সুন্দরবন ঢুকতে দেওয়া হবে না।
রাজকুমারীকে স্বাগত জানাতে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াও জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে।
সাতক্ষীরার তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, রাজকুমারী ম্যারি হ্যালিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে নামবেন। এরপর উপকূলবাসীর সঙ্গে সময় কাটাবেন, সুন্দরবনে ঘুরবেন। স্থানীয় একটি রিসোর্টে খাওয়া-দাওয়া করবেন।
এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জের নিলীমা রাণী বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রীয় অতিথির নিরপত্তার জন্য উপকূলের সাধারণ মানুষ সেখানে দেখতে যেতে পারবেন না, সেহেতু দেশের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমগুলোতে লাইভ দেখানো যেতে পারে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনীর স্টেশন অফিসার নুরুল আমিন বলেন, এই সফরের জন্য সর্বত্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বন উপকূল সর্বত্র। অতিথির জন্য নির্মিত হচ্ছে নতুন হেলিপ্যাড।
“উপকূলবাসী অকৃত্রিম স্বাগত জানাতে তাদের কাঁচাঘরকে কাদামাটিতে লেপে দিচ্ছে। রাস্তা সংস্কার করছে। আর নিরাপত্তায় জড়িত সব প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হয়েছে; তারা পাহারা দিচ্ছে পানিতে, জঙ্গলে, ঘরেবাড়িতে।”
নুরুল আমিন আরও বলেন, “অতিথির নিরপত্তার স্বার্থে সুন্দরবনে ঢুকতে পারবে না সাধারণ পর্যটকরা। মাছধরা জেলেদেরও অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া হচেছ।”
এদিকে, পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, “নিরাপত্তার জন্য সরকারের প্রায় গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান এখান সাতক্ষীরা উপকূলে। তারা এবং জেলা প্রশাসন অতিথির সব আয়োজন সফল করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।”
বেসরারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান লিডার্সের নির্বাহী প্রধান মোহন কুমার মন্ডল বলেন, উপকূলের উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজও দেখবেন তিনি; এজন্য উপকূলের সাধারণ মানুষের সঙ্গে এনজিওরাও স্বাগত জানাচ্ছে অতিথিকে।
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অসীম মৃধা বলেন, উপকূলবাসীর সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরাও অতিথিকে বরণ করতে অধীর অপেক্ষায় আছে। তারা অনুষ্ঠান সফল করতে সবরকম সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।