রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এসব রোগী ভর্তি হয় বলে ফরিদপুরের সির্ভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান জানান।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ জন রোগী ভর্তি হয়। দুদিনে এই হাসপাতালে মোট ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ২২২।
পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় বারান্দাসহ হাসপাতালের বাইরে মাদুর পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
সির্ভিল সার্জন বলেন, দেড় মাস ধরে ডায়রিয়া রোগী আসছে। দুই দফায় ডায়রিয়ার সংক্রমণের হার বেড়েছে; যা গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি না নেওয়ায় সদর হাসপাতালে চাপ পড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি নিলে চাপ অনেকটা কমত। রোগীরাও ভালো সেবা পেত।”
এদিকে সক্ষমতার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ স্বজনদের।
স্যালাইনের পর্যাপ্ত স্ট্যান্ড না থাকায় গাছে টানিয়ে এমনকি হাত দিয়ে উঁচিয়ে রাখতে দেখা যায়।
ফরিদপুর সদর হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ডায়রিয়া সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৭৮ জন। এছাড়া এর আগে ভর্তি ছিলো আরও ১৪১ জন। রোগীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ সকল স্টাফদের ছুটি বাতিল করেছে। হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া ওয়ার্ড ছাড়াও আশপাশের সকল ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি করানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কোথাও সিট না পেয়ে অনেকেই বারান্দায় ও গাছতলায় চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
রোগীর স্বজনেরা জানালেন, প্রচুর রোগী, চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। সরকারি ওষুধ সরবরাহ কম। রোগীকে স্যালাইন দেবে তার স্ট্যান্ড পর্যন্ত নাই, বাধ্য হয়ে গাছে বা হাত দিয়ে উঁচু করে রাখতে হচ্ছে স্যালাইনের বোতল।
এ বিষয়ে সেবিকা আমেনা খাতুন বলেন, প্রচুর রোগী থাকায় জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই ফ্লোর, বারান্দা এমনকি গাছতলায় সেবা নিচ্ছেন।
সেবা নিশ্চিত করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলে আমেনা খাতুন জানান।
ডা. ছিদ্দীকুর রহমান আরও জানান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় রোগীরা ভালো হয়ে বাড়ি ফিরছেন। গত এক সপ্তাহে অন্তত ৪৩২ জনকে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন