শনিবার রাতে নগরীর শাহজালাল উপশহরের ই ব্লকের একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে শাহপরাণ থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান।
নিহত কামরুজ্জামান কামরুল (৩২) সিলেট ল কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্নি মনারাই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
ওসি আনিসুর রহমান জানান, শুক্রবার রাতে কামরুল সেহরি খাওয়ার সময়ও স্বাভাবিক ছিলেন। শনিবার দুপুরের দিকে মেসের এক সদস্য বাড়ি যাওয়ার জন্য তাকে ডাকতে গেলে কামরুলের নাক ও মুখে ফেনা দেখতে পান। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে রাতে পুলিশ কামরুলের মরদেহ উদ্ধার করে। রোববার দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হলে পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান ওসি।
রোববার দুপুরে কামরুলের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে নিহতের বোন ফাহমিদা আক্তারের অভিযোগ, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, “আগের রাতেও আমার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে সুস্থ ছিল। তার বড় কোনো অসুখও ছিল না। তারপরও হঠাৎ কেন এভাবে সে মারা যাবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।”