রোববার ভোরে দাড়াইন নদীর পানির চাপে মাউতি ফসলরক্ষা বাঁধটি ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এ হাওরে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ৪ হাজার ৬৩৭ হেক্টরসহ কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার বোরো জমি রয়েছে।
প্রশাসন বলছে, ছায়ার হাওরের ৯০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। তবে কৃষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে, এখনও ৫০ ভাগ জমির ধান কাটা বাকি আছে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, “দাড়াইন নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। বাাঁধের এই প্রকল্পটি অন্য প্রকল্পের চেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ ছিল না। তারপরও পানির চাপে রোববার সকালে ভেঙে গেছে। এখন হাওরে পানি প্রবেশ করছে।”
এদিকে চলতি বোরো মৌসুমে এই বাঁধটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠন করে
নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু বাঁধের গুণগত কাজ নিয়ে কৃষকরা শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন বলে জানিয়েছেন।
বাঁধের কাজ নিয়ে অসন্তোস প্রকাশ করে তিনি বলেন, “পিআইসি দেওয়া হয়েছে সিলেট শহরে থাকে একজন অকৃষক তাকে। জরুরি সময়ে তাকে পাওয়া যায়নি। সে যদি বাঁধে তদারকি করত তাহলে বাঁধটি ভাঙত না।”
শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু বলেন, ছায়ার হাওরে সবচেয়ে বেশি জমি শাল্লা উপজেলার। কিছু জমি কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন ও কিছু জমি নেত্রকোণার খালিয়াজুরি উপজেলার কৃষকদের।
“ইতোমধ্যে শাল্লা অংশে প্রায় অর্ধেক ধান কাটা হয়েছে। বাকি অর্ধেক ধান কাটার বাকি আছে। এই অবস্থায় হাওর তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
বাঁধ ভাঙা দেখে কৃষকরা আধপাকা ধান ঘরে তুলতে স্ত্রী সন্তান-সন্ততিসহ সবাইকে নিয়ে হাওরে নেমেছেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: