ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুমন বর, বিষু বাইন, হারান বাইন, সহদেব রায় ও কিশোর বিশ্বাসসহ অনেকে জানিয়েছেন, শনিবার সকালে তারা ক্ষেতে গিয়ে বাঙ্গি পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখেন। রাতে কে বা কারা বাঁধ কেটে দেওয়ায় ক্ষেতে পানি ঢুকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতির বড় ধরনের মুখে পড়েছেন তারা।
ফসলের ওপর নির্ভরশীল বাঙ্গি কৃষকেরা ক্ষেত রক্ষায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দ্রুত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় নলুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের প্রায় ২৫ একর জমির বাঙ্গির ক্ষেত তলিয়ে প্রায় শতাধিক কৃষকের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এ কৃষি কর্মকর্তা জানান।
“এর মধ্যে আমার ২ বিঘা জমি রয়েছে। ধার দেনা করে বাঙ্গি চাষ করেছিলাম। আশা ছিল, ২ লাখ টাকার বাঙ্গি বিক্রি করব। বাঙ্গি চাষের আয় থেকে চলত সংসার খরচ। জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় সংসার চলেনা ও ঋণ পরিশোধ করা আমার মাথার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
নলুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের কুসুম বিশ্বাস জানান, প্রতি বছরের মত এ বছরও ধার দেনা করে দেড় হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। কিন্তু জমিতে পানি ঢুকে পড়ায় তার ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বাঙ্গি চাষ করে যে লাভ হয় তা থেকে দেনা দেওয়ার পর ছেলেমেয়ের পড়াশুনা করান তিনি। এ বছর কি ভাবে সংসার চালাবেন, ছেলে-মেয়ের পড়াশুনা করাবেন বা দেনা দেবেন তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কৃষি কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করে তাদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তাদের সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে।