পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের সুলতানপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ‘জিহান জিগজ্যাগ’ নামের দুটি (৫ ও ৬ নম্বর) ইটভাটা।
এই ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণেই গত ছয় বছর ধরে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশ ও কৃষি অধিদপ্তরে স্থানীয় কৃষকরা মৌখিক অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সুলতানপুর গ্রামের কৃষক মনসুর বলেন, “কয়েক দিন পরই ফসল কেটে ঘরে তোলার স্বপ্ন ছিল। ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
ওই গ্রামের কৃষক কালাম বলেন, “ধার দেনা করে আর দিনরাত পরিশ্রম করে বোরো আবাদ করেছি। ধানের শীষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু ধান পরিপক্ক হওয়ার মূহূর্তে অধিকাংশ চিটা হয়ে যাচ্ছে।”
ইটভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই বলে জানান শেরপুর পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক আল মাহমুদ।
তিনি বলেন, “আবাসিক এলাকায় এবং এক কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও হাসপাতাল আর কৃষি জমি থাকলে কোনোভাবেই ই আমরা ইটভাটার লাইসেন্স বা পরিবেশ ছাড়পত্র দিতে পারি না।
সদর বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররম বলেন, “এই ইটভাটার কারণে এলাকাবাসী ‘দূর্বিষহ জীবন যাপন’ করছে। আমরা ধারণা করছি, ১২০ থেকে ১২৫ জন কৃষকের ক্ষেতের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধোঁয়া যতদূর পর্যন্ত গেছে সেখানেই ফসলের ক্ষতি হয়েছে।”
জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ ইটভাটাগুলো অবৈধ জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে এক কোটি টাকার মতো জরিমানা আদায় করা হয়েছে।”
সুলতানপুর ও কারারপাড় গ্রামের ধানের ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, “কৃষি বিভাগের গবেষকদের পরীক্ষা করার পর ইটভাটার কারণেই ক্ষতি হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের যথাথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”