তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ডে তিনটি ফেরি মেরামত করা হচ্ছে বলে প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।
হাবিবুর রহমান পাটুরিয়া ঘাটের ভাসমান মেরামত কেন্দ্র মধুমতীর সহকারী প্রকৌশলী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফেরি তিনটির নাম গোলাম মওলা, শাপলা শালুক ও শাহ আলী; মেরামতের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। তিনটির মধ্যে শাপলা শালুক আর গোলাম মওলা কয়েক দিনের মধ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যোগ দেবে।
ঈদ সামনে রেখে যাত্রীদের ভোগান্তি যেন কম হয় তাই তারা রাত-দিন আমরা কাজ করছেন বলে জানান।
আর শাহ মখদুমের কাজ দুই-এক দিনের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান মধুমতীর মিস্ত্রি আব্দুল আহাদ ও নুরুল ইসলাম।
রাসেল নামে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, “ঈদ সামনে রেখে ফেরি ধোঁয়ামোছা করছি। যাত্রীরা ভাল পরিবেশে ও ভোগান্তি ছাড়া পারাপার হলে আমাদেরও ভাল লাগে।“
শাহজাহান নামে একজন বাসচালক বলেন, ঈদের সময় ফেরির সংখ্যা কম হলে ভোগান্তির মাত্রা বাড়ে।
“তাই ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানাই।”
এই নৌপথে এখন ছোট-বড় মিলে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ।
তবে আশাবাদী হতে পারছেন না যাত্রীরা।
“ঈদে ঘাট কর্তৃপক্ষের পূর্বপ্রস্তুতি থাকলেও তা তেমন কাজে আসে না। সব সমস্যা একসঙ্গে সমন্বয় করে সমাধান করা গেলে ভোগান্তি কিছুটা কমবে।”