সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যার বিচার শুরু

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2022, 09:01 AM
Updated : 18 April 2022, 09:01 AM

হত্যার দেড় বছর পর সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে আলোচিত এ মামলার বিচারকাজ শুরুর নির্দেশ দেন বিচারক মো. আব্দুর রহিম।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নওশাদ আহমদ চৌধুরী জানান, দণ্ডবিধির ৩০২, ২০২ এবং ৩৪ ধারায় মামলার সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ মে  মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।

২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলায় পাঁচ পুলিশসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।

অভিযুক্তরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ এবং ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।

এদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।

২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

রায়হান হত্যার পরদিন ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এক হাজার ৯৬২ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সাক্ষী রাখা হয় ৬৯ জনকে। সাক্ষীদের মধ্যে ১০ জন ১৬৪ ধারায় এরই মধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনই পুলিশ সদস্য। রায়হানের শরীরে ১১১ আঘাতের চিহ্ন নিরূপণকারী ফরেনসিক চিকিৎসককেও মামলার সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে।

এদিকে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মামলার বিচারকাজ শুরু হওয়ায় খুশি রায়হানের পরিবার।

রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, দেড় বছর অপেক্ষার পর বিচারকাজ শুরু হলো। আশা করছি, সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

তিনি আরও বলেন, রায়হানকে নৃশংসভাবে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে মারা হয়েছে। রায়হানকে তো আর ফিরে পাব না। তবে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে আমাদের পরিবারে।

আরও পড়ুন: