শুক্রবার নগরের উপশহর নিউ মার্কেট এলাকার ‘রসগোল্লা’ নামের মিষ্টির দোকানিকে দুই দফায় এই জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন।
প্রথমে বিকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এরপর সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে প্রতারণার দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
একই সঙ্গে কাঁচা আমের এই জিলাপি বানানো বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে হাসান-আল-মারুফ জানান।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে আলোচনায় ছিল কাঁচা আম দিয়ে জিলাপি বানানোর খবর। অনেক ভোক্তা তাদের কাছে ও মহানগর পুলিশের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছিলেন এই মৌসুমে কীভাবে আম দিয়ে জিলাপি বানানো হয়। আম তো বড় হয়নি। পরে এর সত্যতা জানতে নগরের উপশহর এলাকায় তারা আরাফাত রুবেলের ‘রসগোল্লা’ নামে মিষ্টির দোকানে যান।
“সেখানে গিয়ে দেখা যায়, জিলাপির ওপর গুটি গুটি আাম রাখা। পাশেই দেখা যায় রাসায়নিক কালার ফুড গ্রেইড পেস্ট রাখা আছে। এটা আমের তৈরি জিলাপি নয়, এটাকে বলা যায় আমের ফ্লেভারের জিলাপি।
“কিন্তু রুবেল এটা আমের তৈরি জিলাপি বলে প্রচার চালিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। এ কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।”
অভিযানের পর আরাফাত রুবেল নিজের ফেইসবুকে অভিযানের বিষয়ে লিখেছেন, “কাঁচা আমের জিলাপি নয়, কাঁচা আমের স্বাদের ‘ম্যাংগো ফ্লেভার’ জিলাপি। আজ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা আমাদের রসগোল্লার কাঁচা আমের জিলাপি পর্যবেক্ষণ করেন। কাঁচা আমের জিলাপির ফুড গ্রেড কালার ও গুণগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আমের সাইজ ও পরিমাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গঠনমূলক পরামর্শ দেন। এ ছাড়া তারা আমাদের কাঁচা আমের জিলাপির বিজ্ঞাপনের ভাষা সঠিকভাবে উপস্থাপন না করায় ২৫ হাজার জরিমানা করেন।”
রাতে যোগাযোগ করা হলে আরাফাত রুবেল বলেন, ইফতারের পর জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দ্বিতীয় দফায় তার দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় তার ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে কাঁচা আমের জিলাপি তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ ছাড়া যে রং ও ফ্লেভার ব্যবহার করা হয় তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না তার প্রমাণ নিয়ে অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে।