আবহাওয়া ও বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় শুক্রবার জানায়, মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ সেন্টিমিটার বেড়েছে; তবে এখনও তা বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানি বেড়েছে ছয় সেন্টিমিটার এবং পুরাতন সুরমা নদীর পানি বেড়েছে পাঁচ সেন্টিমিটার।
পাউবো সুনামগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম সকাল ৯টায় বলেন, “মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই পানি এখন সুরমা নদীসহ বিভিন্ন সীমান্ত নদ-নদীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হাওরের সবগুলো বাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে আছে।
“গত ৪৮ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি প্রায় ৬২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলে জেলার অধিকাংশ হাওরের ফসলই তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
এদিকে সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, জেলায় আবাদ করা দুই লাখ ২২ হাজার ৫০৮ হেক্টর জমির মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ২৩০ হেক্টর জমির বোরো ধান কাটা হয়েছে। গড় কর্তন প্রায় ১০ ভাগ।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “পাহাড়ি ঢল দ্রুত বাড়ছে। গত ১৫ দিন ধরে মাটির অস্থায়ী বাঁধগুলো যুদ্ধ করে টিকে আছে। পানি বাড়ায় ধসে বা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে সবগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধেই প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে কাজ করছে।”
“এখন ধান পাকা ধরেছে। তাই দ্রুত কেটে নিতে হবে। আমরা বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক পাঠানোর জন্য লিখেছি। এরই মধ্যে কিছু শ্রমিকও এসেছে।“
মঙ্গলবার আবহাওয়া ও বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে রোববার পর্যন্ত নদ-নদীতে পানি বাড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: