বৃহস্পতিবার সকালে জগন্নাথপুর ও শাল্লা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও প্রশাসন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মৃতরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার হারুন মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (৩৫), তার ছেলে হোসেন মিয়া (১) ও মেয়ে মাহিমা বেগম (৪), শাল্লা উপজেলার নাছিরপুর গ্রামের মকবুল খাঁ (৫০) ও তার ছেলে মাসুদ খাঁ (১২)।
আহতর হলেন- মকবুলের আরেক ছেলে রিপন খান ও তার শ্যালকের ছেলে তানভির হোসেন। তাদের হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত সুশঙ্কর রায় জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোলেমানপুর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়ে মৌসুমী, তার ছেলে হোসেন ও মেয়ে মাহিমা মারা যায়।
পাটলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আঙ্গুর মিয়া বলেন, “হারুন তার পরিবার নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে সোলেমানপুর গ্রামে সালিক মিয়ার টিনশেডের বাড়িতে ভাড়া রয়েছেন।
ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় তার স্ত্রী মৌসুমী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
“এ সময় দুটি বড়ো গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়লে ঘরটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাদের মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।”
পাটলি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মালেক বলেন, মৃতদের লাশ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে শাল্লা উপজেলার নাছিরপুর গ্রামের পাশের হাওরের তীরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়।
শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার বলেন, “মকবুল তার দুই ছেলে ও শ্যালকের ছেলে কে নিয়ে বাড়ির পাশে হাওরের তীরে বাঁশ কাটছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মকবুল ও মাসুদ মারা যান৷”
পরে রিপন ও তানভীরকে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানান তিনি।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, বজ্রপাতে মৃত বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।