এত পানির ধারণ ক্ষমতা নদীর নেই: সচিব

পলি পড়ে নাব্য হারিয়ে যাওয়ায় মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির পানি ধরে রাখার মতো ক্ষমতা দেশের নদ-নদীর নেই বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2022, 07:43 AM
Updated : 13 April 2022, 08:07 AM

তিনি বলেন, “বৃষ্টির এত পানির ধারণ ক্ষমতা আমাদের নদীগুলোর নেই। এগুলো ব্যাপক খনন করা দরকার। আমরা কাজ করছি। এই মুহূর্তে হাওর বেসিনে মোট ৫০০ কিলোমিটার নদী, সাড়ে ৪০০ কিলোমিটারের মতো খাল খনন কাজ চলছে।

“হাওরের ধনুসহ ১৪টা নদী নিয়ে বড় প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। এটার স্টাডি শেষের দিকে। আশা করছি, এই বছরেই প্রকল্পটি পাশ হবে। সামনের সিজন সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করতে পারব। এতে নদী-খালে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়বে।”

বুধবার সকালে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সচিব এসব কথা বলেন।

কবির বিন আনোয়ার আরও বলেন, “সরকারের ডেল্টা প্ল্যানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে হাওরের জেলাগুলোকে নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করা হয়েছে। হাওর বেসিনকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।”

এ সময় সিনিয়র সচিব হাওরের ফসলের বাঁধ রক্ষায় বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন।

কয়েক দিনের উজানের ঢলে নেত্রকোণায় হাওরের প্রধান নদী ধনুর পানি বেড়ে খালিয়াজুরীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০৭ হেক্টর জমির বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে। কীর্তনখলা বাঁধে একাধিক ফাটল দেখা দিলে কৃষক, পাউবো ও প্রশাসনের লোকজন দিনরাত কাজ করে মেরামত করে ভাঙন ঠেকায়। এতে হাওরের অন্তত ১২ হাজার হেক্টর জমির ফসল রক্ষা পায়।

জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত।

পাউবো কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে খালিয়াজুরী বাজার পয়েন্টে ধনু নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। এখন পর্যন্ত হাওরের সবকটি বাঁধ নিরাপদে রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এফ এম মোবারক আলী জানান, উজানের ঢলে হাওরের নীচু এলাকার ১০৭ হেক্টর জমির ৬৫০ মেট্রিক টন ধান নষ্ট হয়েছে। এতে সাড়ে ৬০০ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

হাওরে এখন ধান কাটা চলছে উল্লেখ করে উপ-পরিচালক বলেন, এর মধ্যে ১৩ হাজার ২৭৮ হেক্টর জমির বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। হাওরাঞ্চলে এবার ৪৪ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, দুই লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

আরও পড়ুন: