গোপালগঞ্জে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2022, 04:45 PM
Updated : 9 April 2022, 04:45 PM

নাটোরের কানাইখালী গ্রামের নারায়ণচন্দ্র সাহার ছেলে রতন কুমার সাহা এই অভিযোগ করেছেন কাশিয়ানী শহরের আদর্শপাড়ার বাসিন্দা সাহেব আলী মোল্লার বিরুদ্ধে।

রতন বলেন, তিনি মাতুল সূত্রে কাশিয়ানী মৌজায় ১৯৮ শতাংশ জমির মালিক। তার দাদু বিনোদ বিহারী সাহার ৩৬ নম্বর কাশিয়ানী মৌজায় এসএ ৫৯, ৬০, ৮২২, ৭৮৫ নম্বর খতিয়ানের ৪০৬, ৪০৭, ৪০৮, ২৮৬ ও ২৮৭ নম্বর দাগে ৫৩ শতাংশ জমি রেখে মারা গেছেন। তাছাড়া তার আরও জমি রয়েছে কাশিয়ানীতে।

“জেলা প্রশাসনের পরামর্শে বুধবার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে জমির নামজারি করাতে যাই। এ সময় সাহেব আলী মোল্লা আমাকে দেখে অফিসের মধ্যেই মারধর করার জন্য তেড়ে আসেন। আবার যদি কখনও সম্পত্তির মালিকানা দাবি করি তাহলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন সাহেব আলী।”

পরে তিনি কাশিয়ানী থানায় অভিযোগ দেন।

রতন বলেন, কাশিয়ানীতে তার মাতুল সূত্রে পাওয়া মোট ১৯৮ শতাংশ জমি রয়েছে।

“এর মধ্যে ৪০ শতাংশ ‘ক’ তফসিলভুক্ত ভিপি সম্পত্তি। এই জমির জন্য সাহেব আলী মামলা করেছেন। মামলা চলমান রয়েছে। আর অন্যান্য দাগের সম্পত্তিও সাহেদ আলীর নামে বিআরএস রেকর্ড হয়েছে। ওই রেকর্ডের বিরুদ্ধে আমি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি। সেই মামলাও চলমান রয়েছে।”

সাহেব আলী প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো জমির সরাসরি মালিকানা দাবি করেননি। তবে দখলে রাখার কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ”এসএ, আরএস এবং সিএস পর্চায় রতনের দাদুর নাম থাকলেও বিআরএস রেকর্ড আমাদের নামে হয়েছে। সম্পত্তি নিয়ে আদালতে  মামলা চলছে। আদালত সম্পত্তির মালিকানা ঠিক করবে।

”আমরা এ সম্পত্তির দখলে রয়েছি। রতন শুধু ঝামেলা পাকাচ্ছে। তাই তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। আপনারা সাংবাদিকরা যা পারেন লেখেন। এতে আমার কিছুই হবে না।”

বিআরএস রেকর্ড তাদের নামে কিভাবে হল সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি সাহেব আলী।

প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছেন কাশিয়ানী থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান।

ওসি বলেন, রতন কুমারের অভিযোগ পেয়ে হুমকির ঘটনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ আদালত নিষ্পত্তি করবে।