পড়া না পারায় ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীর গালে চড় মারানোর অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে পড়া না পারায় সহপাঠী এক ছাত্রকে দিয়ে তার গালে চড় মারানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2022, 07:27 AM
Updated : 9 April 2022, 07:39 AM

এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার তদন্ত সংক্রান্ত চিঠি কমিটির সদস্যের কাছে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলার বাঞ্ছারামপুরের ফরদাবাদ ইউনিয়নে ড. রওশন আলম কলেজে গত ৪ এপ্রিল এ ঘটনা ঘটলেও তদন্ত কমিটি গঠনের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

এতে অভিযোগের মুখে থাকা শিক্ষকের নাম সাদেকুর রহমান।

কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক জানান, ঘটনার দিন দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক সাদেকুর। ক্লাসে আলোচনা করা বিষয় নিয়ে এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করেন তিনি। কিন্তু ওই ছাত্রী ভুল উত্তর দেন।

পড়া না পারায় সাদেকুর ওই ছাত্রীকে নিজ হাতে নিজের গালে চড় মারতে বলেন। পরপর তিনবার বলার পরও চড় না মারায় পাশে থাকা আরেক ছাত্রীকে ওই ছাত্রীর গালে চড় মারতে বলেন সাদেকুর। কিন্তু পাশের ছাত্রীও চড় দিতে রাজি হয়নি।

পরে এক ছাত্রকে ওই ছাত্রীর গালে চড় দিতে বলেন সাদেকুর। এ সময় ওই ছাত্র ছাত্রীর গালে চড় মারেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

এর প্রেক্ষিতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, “ঘটনা জানার পর আমরা কলেজে গিয়েছি। ওই শিক্ষকসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।”

আর শিক্ষক সাদেকুর রহমানের ভাষ্য, “ক্লাসে একটি মান নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ওই ছাত্রী আগেও ভুল করেছিল। তার ভুল সংশোধন করে দিয়েছিলাম। এরপরও না পারায় তাকে নিজের গালে চড় মারতে বলেছিলাম।

“বারবার ভুল হওয়ায় ভেবেছিলাম এটা করলে মনে থাকবে। ওই ছেলেটা নিজে থেকেই ‘অতি উৎসাহী’ হয়ে ছাত্রীর গালে আস্তে করে হাত দিয়েছে।”

ড. রওশন আলম কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া কলেজের সভায় এ ঘটনার জন্য ওই ছাত্রীর বাবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।