ওই তরুণের স্বজনের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তাকে সদর উপজেলার মঠের বাজার থেকে তুলে নিয়ে যায়। রোববার তাকে জেলা শহরের পানিছত্র এলাকায় রেখে যায়।
স্বজনদের বরাত দিয়ে সদর থানার এসআই দীপংকর বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার মঠের বাজার থেকে ১৮ বছর বয়সী এই তরুণকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় এক হিজড়া এবং তাদের (হিজড়াদের) নিয়মিত বহনকারী এক ভ্যান চালক।
“পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। সেখানে ওই তরুণকে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে।”
দীপংকর বলেন, এরপর অবস্থার অবনতি হলে রোববার সকালে একটি প্রাইভেটকারে করে তাকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় তারা।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে দীপংকর জানান।
হাসপাতালে এই তরুণের সঙ্গে থাকা নানি সাংবাদিকদের বলেন, “স্থানীয় এক হিজড়া ও তাদের ভ্যানচালক হিজড়াদের দলে নিতেই আমার নাতির লিঙ্গ কেটে ফেলেছে। যাতে তারা তাকে দলে নিতে পারে।”
তিনি বলেন, তার নাতি মেয়েদের মতো করে কথা বলার অভ্যাস থাকায় হিজড়াদের দলে নিতে তার সঙ্গে এমন ‘অমানবিক’ আচরণ করেছে। তিনি এর বিচার দাবি করেছেন।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।”