উপজেলার টঙ্গীবাড়ি-বালিগাঁও-মাওয়া সড়কের এ সেতুটি গত ১৯ মার্চ কাঠের গুঁড়ি বোঝাই একটি ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন চলাচলকারীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজং উপজেলার লোকজন ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন সেতুটি ব্যবহার ব্যবহার করেন। ১৭ দিনেও সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় মাওয়া-লৌহজং, টঙ্গীবাড়ী মুন্সীগঞ্জ উপজেলার লোকজনকে অনেক পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। মালামাল আনা-নেওয়া করতেও পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, দুর্ঘটনা কবলিত মালবাহী ট্রাক ও ব্রিজটির ভেঙে পরা অংশ নিচে রেখেই মেরামতের কাজ চলছে।
এ সময় কথা হয় ব্রিজের কাজে নিয়োজিত সুপার ভাইজার মো. সিরাজুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, “ভেঙে যাওয়ার দুইদিন পর বেইলি ব্রিজের মেরামতে ২৫ জন শ্রমিক কাজ শুরু করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে ব্রিজ দিয়ে সব রকম গাড়ি চলাচল করতে পারে সেভাবেই জোরেসোরে কাজ চলছে।”
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড় থেকে ট্রাকটি গাছে থেকে গাছের গুড়ি বোঝাই ট্রাকটির শরীয়তপুরের কাজিরহাট যাওয়ার কথা ছিল। আনুমানিক ৩০ টন ওজন বহনকারী ট্রাকটি ঘৌলতলী বেইলি ব্রিজটি অতিক্রম করার সময় বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের চালক ও হেলপার।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত মালামাল পরিবহন করে সেতুটি ক্ষতির হয়েছে উল্লেখ করে লৌহজং থানায় অভিযোগ করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান খান প্রকৌশলী ফাহিম রহমান।
লৌহজং থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, ট্রাকচালক মো. নরু মুন্সী এবং হেলাপর আহত অবস্থায় ট্রাক থেকে বের হয়ে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করে পলাতক রয়েছে। ট্রাকটি এখনও কাঠেরগুঁড়িসহ এবং বেইলি ব্রিজটির একাংশসহ পানিতেই আছে।
মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবুল কাশেম মোহাম্মদ নাহীন রেজা বলেন, “নতুন বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা সহজ হলেও ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ ও ডুবে যাওয়া ট্রাকটি ঘটনাস্থল থেকে সরানো অনেক চ্যালেঞ্জিং। এই সড়কে ছয়টি বেইলি ব্রিজ সরিয়ে সেখানে নতুন পাকা ব্রিজ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগির প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
“তবে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে আপাতত ভেঙে যাওয়া বেইলি ব্রিজটি মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে। এটি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।”
১৯৯৯ সালে নির্মিত বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ৫টন ধারণ ক্ষমতা নির্ধারণ করে সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়। কিন্তু তা অমান্য করে ট্রাকটি প্রায় ৩০ টন ওজন বহন করছিল বলে জানান তিনি।