ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শুক্রবার মন্ত্রী বলেন, “আমরা যখন জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের কাজে লিপ্ত ছিলাম, তখন রাতের বেলা আপনারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুন করতে পেরেছিলেন।
“সেই সুযোগ বিএনপি আর পাবে না। জনগণ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আপনাদের ষড়যন্ত্র জনগণ টোকায় টোকায় জবাব দেবে।”
কসবা টি. আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে এই সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ ছিল রাজাকার-আল শামসদের ঘাঁটি। তারা দেশটাকে চালাত। যারা মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে, বাবা-ভাইকে হত্যা করেছে, তারা বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে মন্ত্রিত্ব করেছে।
ওই সময় বিএনপির নেতারা ’বাংলাদেশ তো ভিক্ষা না করলে চলবে না’ বলেছেন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “তারা ইউরোপে ভিক্ষার থলি নিয়ে গেছে। সেই থলি যতক্ষণ না ভরত, ততক্ষণ বাংলাদেশের বাজেট ঘোষণা হতো না। যদি দুই মিলিয়ন ডলার দিত, তাহলে বাংলাদেশের বাজেট হতো দুই দশমিক এক মিলিয়ন ডলার। এই টাকা এনে উনাদের পকেট আর ভ্যানিটি ব্যাগ ভরত। শেখ হাসিনা আসার পর বাংলাদেশ উন্নয়ন দেখেছে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের সব সূচকে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ যে সারাবিশ্বের অনেক দেশ থেকে ভালো আছে, যারা পাকিস্তানপ্রেমি এটা তাদের পছন্দ হয় না। তারা বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখতে চায়। কিন্তু তারা জানে না, বাংলাদেশের জনগণকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
কসবা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে দলের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন, আখাউড়া উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন ভূইয়া ও কাজী আজহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।