কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকায় বাবুর্চি বোরহানের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে আরিফুল ইসলামের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন তারা।
১৩ বছর বয়সী আরিফুল উপজেলার হোগলপাতিয়া এলাকার হারুণ সরদারের ছেলে এবং কৃষ্ণনগর এলাকার দারুল কুরআন হাফিজিয়া ও কওমিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
মাদ্রাসার পরিচালক মুহতামিম মুফতি মুনির হোসাইন বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে আরিফুল মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। যখন বের হয় তখন মাদ্রাসার বাবুর্চি বোরহান ওর সঙ্গে ছিল। এরপর কিভাবে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতেছি না।”
ওসি বলেন, “সকাল ৮টার দিকে পুকুরে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন কালকিনি থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
“মৃতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন দেখ যায়নি। আরিফুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
এ পুলিশ আরও বলেন, বাবুর্চি বোরহানের সঙ্গে আরিফুলের সম্পর্ক ভাল ছিল বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কিন্তু যেহেতু লাশ বোরহানের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সে হিসেবে আমরা বোরহানকে সন্দেহ করছি।”
ঘটনার পর থেকে বোরহান পলাতক থাকায় তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।