ছয় দিনের এই আয়োজনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার।
শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানিকভাবে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান।
ধুনট উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে একটি মজা পুকুর সংস্কার করে ব্যক্তিক্রমী এই উদ্যোগ নেন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত।
আয়োজকরা জানান, ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯৬ ফুট প্রস্থের পতাকা এবং প্রকল্পের দৃশ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯২ হাজার ৩৪০টি লাল ও সবুজ রঙের মরিচ বাতি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছয় দিনের এই আয়োজন চলাকালে প্রতিদিন বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই শত শত মানুষ ভিড় জমায় এখানে।
জাতীয় পতাকা ছাড়া অন্য দৃশ্যাবলির মধ্যে ছিল ১০০ ফুট লম্বা নৌকাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি। পুকুরের পশ্চিম পাশে লেখা রয়েছে ‘আই লাভ বঙ্গবন্ধু’। এছাড়া পুকুরের পূর্ব পাশে লেখা সাইবোর্ডে মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লেখা হয়।
তাছাড়া এ সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের চিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, “বাংলাদেশ ও উন্নয়ন এটাই প্রদর্শন করার চেষ্টা করেছি মাত্র। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার এই স্বপ্ন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বঙ্গববন্ধু ও তার স্বপ্নের সোনার বাংলা হৃদয়ে ধারণ করতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।”
বগুড়া জেলা প্রসাশক মো. জিয়াউল হক বলেন, “সমস্ত পুকুরটাই যেন বাংলার মুখ। সুবর্ণ জয়ন্তী পালনে প্রতিটি উপজেলায় অনবদ্য কর্মসূচি নিতে বলেছিলাম। তারই একটি অংশ ধুনটে পুকুরে আলোয় আলোয় তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশকে।”
বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান বলেন, “ধুনট উপজেলায় বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা। সেই সঙ্গে দেশের উন্নয়নচিত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে।”
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নতুন প্রজন্মের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে বলে তার বিশ্বাস।
এই দৃশ্য দেখতে আসা ধুনট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান ও সুস্মিতা রায় বলেন, ধুনট উপজেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমধর্মী এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
পাশের শেরপুর উপজেলা থেকে এসেছিলেন শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি বলেন, “বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে তৈরি করা এত বড় জাতীয় পতাকা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেশের প্রতি মানুষের গভীর শ্রদ্ধাবোধ জন্ম নেবে।”